উজ্জ্বল হাসান,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্হ্যসেবায় দুরবস্হা দেখা দিয়েছে।

ফলে দৈনিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের প্রায় ৫২হাজার মানুষ।

জানাযায় এই উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রেটি স্বাস্থ্য সেবার উপর নির্ভর শীল (২০১৯ সালের জরিপ তথ্য মতে প্রায় এ ইউনিয়নে ৫২ হাজার মানুষের বসবাস। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও অর্থনৈতির ব্যাপক সংকট থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে উন্নত চিকিংসা নিতে পারছেন না হাওর পাড়ের কেটে খাওয়া দিন মজুরি মানুষ গুলো,তাদের একমাত্র চিকিৎসা ক্ষেত্রে নির্ভরশীল এই উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।

স্হানীয় সূত্রে জানাযায় প্রতিদিন নিরুপায় হয়ে হাওর পাড় থেকে জ্বর,কাশি সর্দি নিয়ে আসা রোগীরা প্রতিদিন শ্রীপুর বাজার পল্লী চিকিংসকদের প্যারাসিটামল ও হিসটাসিন চিকিৎসা এর দ্বারস্থ হচ্ছেন।

উন্নতমানের সরকারি ঔষধ সামগ্রী কিনতে না পেরে বিভিন্ন রোগের বাসা বাধছে যেন শরীরে

তাহিরপুর উপজেলা হাসপাতালের তথ্য সূত্রে জানাযায় উত্তর শ্রীপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৪টি পদে লোকবল রয়েছেন ১জন, এম বিবি এস,১জন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ১জন ফার্মাসিস্ট ১জন, এম,এল,এস,কিন্তু বাস্তবে একজন নেই। ডা.না থাকায় বন্ধ রয়েছে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় উপস্বাস্হ্য কেন্দ্রটির সামনে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় নেই ডাক্তার, হাসপাতালে দরজায় ইয়া বড় তালা ঝুলছে।

অসুস্থ ভুক্তভোগী জানে আলম বলেন, শেখ হাসিনা সরকার,স্বাস্থ্য সেবা জনমানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু হাওরাঞ্চলের মানুষ’আজও সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রয়েই গেছে। যাঁর কারণ আজও খোঁজে পায়নি অবহেলিত মানুষ একি সুবিধা বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য লেখা? নাকি দায়িত্বশীলদের অবহেলা।

উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেবা বঞ্চিত ভুক্তভোগী একরাম হোসেন আখঞ্জী বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আতংকে বিশ্ব বাসী আজ দিশেহারা, একমাত্র নির্ভরশীল চিকিংসকের উপর, জর, সর্দি কাশি হলেই’ আতংকে দিশেহারা হয়ে উঠে মানুষ। বাঁচার তাগিদে প্রতিদিনেই দ্বারস্থ হতে হয় চিকিংসকের দ্বারে। কিন্তু এমন অবস্থায় উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় সরকারি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ।

আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই।ভাটি জনপদের মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন। আমাদের উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এম, বি,বি, এস, ডাক্তার সাহেব কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রাখবেন না। বঞ্চিত মানুষের সেবা করতে দিন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ পালন করুন ।

উপজেলার শ্রীপুর( উত্তর) উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৪টি পদের মধ্যে দুই জন স্থলাভিষিক্ত আছেন। কিন্তু তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে?

এমবিবিএস ডাক্তার জুনায়েদ সরকার দায়িত্ব পালন করেন জেলা সদর হাসপাতালে কোভিড-১৯ বিষয়ে। অন্যত্র কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জয়দেব হাওলাদার ১সাপ্তাহ আগে বদলি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

এ বিষয়ে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজি খসরুল আলম বলেন, ডাক্তার না থাকার কারণে হাসপাতালটি বন্ধ থাকায় বিষয়টি শুনে খুব দুঃখ লাগছে এ বিষয়ে আমাকে অনেকেই অবগত করছে। আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত লোকবল নিয়োগ দেওয়া হউক। করোনাকালীন সময়ে মানুষ নিরুপায় হয়ে জ্বর সর্দি কাশি জটিলতা রোগ নিয়ে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসতে হচ্ছে পল্লী চিকিৎসকদের ধারে, হাওর পাড়ের মানুষ দরিদ্র, ঔষধ কিনার মত সবার টাকা সার্মথ্য নেই। যদি হাসপাতালটি খোলা থাকত’ অথচ সরকারি ঔষধ পেয়ে বেচে থাকত দরিদ্র কেটে খাওয়া হাওর পাড়ের মানুষ গুলো। দুর্যোগ এ সময়ে হাসপাতাল টি বন্ধ?

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শাহিন আখঞ্জী বলেন, নাই মামার চেয়ে’ কানা মামার উপর ভরসা করে চলি হাওর পাড়ের মানুষ আমরা। কিন্তু বিপাকে পড়ে জীবন বাচাতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বাজার ফার্মেসীর পল্লী চিকিৎসকদের কাছ থেকে।

মানবতার জননী,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি, শ্রীপুর (উত্তর )উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে একজন এম বিবি এস ডাক্তার জরুরী বিতৃতে নিয়োগ দিন। তিনি যেন সদায় হাওর পাড়ের মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করেন।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা( টি, এইস, সি) ডাক্তার সৈয়দ আহমেদ হোসেন সামির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন। লোকবল কম থাকায় এম বিবি এস ডাক্তার উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা দিতে পারছে না। উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ পাওয়া ডাক্তার জুনায়েদ সরকার, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কোভিড-১৯ এর চিকিংসা সেবায় নিয়োজিত আছেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে তিনি আরও বলেন ১/২দিনের মধ্যে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার যোগদান করবেন।যিনি নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি অসুস্থ থাকার কারণে সঠিক সময়ে যোগদান করতে পারছেন না।